শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রূপগঞ্জে বেসরকারি বৃত্তিপ্রাপ্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা রূপগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ইমাম সম্মেলন, সমাজে ন্যায় ও নৈতিকতার প্রতিষ্ঠায় ইমামদের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান রূপগঞ্জে ৪০ বছরের পুরনো শিমুলিয়া হাট বন্ধ — এলাকাবাসীর মানববন্ধন, পুনরায় চালুর দাবি বাড়ি বাড়ি বৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়টি সংসদে প্রথম উঠাবো” — ড. ইকবাল নারায়ণগঞ্জে দশ মাসে আগুনে ক্ষতি ১৩ কোটি,নিহত ১৭ জন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপি ও জামায়াতের বৈঠক চ্যালেঞ্জ শিশুরা সমাজের বোঝা নয়: নারায়ণগঞ্জের ডিসি বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় দম্পতি গ্রেফতার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের সমস্যা দূর করা হবে : কাজী মনির রূপগঞ্জে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ
এইচএসসি ২০২৫ : ২০ বছরে সর্বনিম্ন পাস, জিপিএ-৫ এ ধস

এইচএসসি ২০২৫ : ২০ বছরে সর্বনিম্ন পাস, জিপিএ-৫ এ ধস

 

নিজম্ব প্রতিবেদকঃ

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে এবার। পাসের হার ও জিপিএ-৫—দুটোতেই একসঙ্গে ধস নেমেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার প্রায় অর্ধেক। আর জিপিএ-৫ কমেছে প্রায় পাঁচগুণ। যা ফলাফলে বড় ধাক্কা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল বিপর্যয়ের পেছনে রয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ‘পলিসি মেকিং’ ও শিক্ষার্থীদের দুর্বল ভিত্তি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অমনোযোগিতা ও অভিভাবকদের উদাসীনতা। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মধ্যে সংকট একটি বড় কারণ।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরীও বলছেন একই কথা। তিনি বলেন, ‌এবারের ফলাফল হচ্ছে সিলেটের বাস্তব চিত্র। এবার শিক্ষকরা স্বাধীনভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পেরেছেন। কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার কারণে ফলাফল নেমেছে। তবে এর বাইরে শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা ও অভিভাবকদের উদাসীনতাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৯ হাজার ১৭২ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৭১ জন। পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা বিগত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৬০২ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ছয় হাজার ৬৯৮ জন শিক্ষার্থী।   ফলাফল বিপর্যয়ের পেছনে সঠিক শিক্ষানীতি প্রণয়নের অভাব, দুর্বল শিক্ষার্থী ও ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের ভিন্ন চিন্তাধারাসহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে অটোপাসের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই বছরগুলোতে তাদের পাঠদান ছিল অনিয়মিত, অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ ছিল সীমিত, আর বাস্তব মূল্যায়নের সুযোগও ছিল না। এই শিক্ষার্থীরাই পরে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন, যেখানে বোর্ড কর্তৃপক্ষ নম্বর প্রদানে নমনীয়তা দেখায়। ফলে অনেকেই ভালো ফল করলেও তাদের শক্ত ভিত তৈরি হয়নি। তারা আরও বলছেন, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষাতেও প্রশ্ন ছিল তুলনামূলক সহজ ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে ছিল নমনীয়তা। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন হওয়ায় এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনো নমনীয়তা না দেখানোয় এই শিক্ষার্থীরাই খারাপ ফলাফল করেছেন।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




স্বত্ব © ২০২৫ নিউজ ৩৬ এইসডি ।
Design & Developed BY POPCORN IT