নিউজ ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চব্বিশের জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনাল তিন আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্তি ও শহীদদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ে তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হিসেবে দণ্ডনির্দেশ দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান দমনকালে শহীদ ও আহতদের নির্যাতনের বাস্তব চিত্র যে কারও স্বাভাবিক মানসিক অবস্থার বাইরে নিয়ে যায়। প্রথম অভিযোগে শেখ হাসিনাকে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ ও অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগে হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট এলাকায় হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার জন্য একই শাস্তি ধার্য করা হয়।
সহ-আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালকেও একই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে সত্যবিচার নিশ্চিত করায় তার শাস্তি পাঁচ বছর নির্ধারিত হয়।
মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আদালত, রাষ্ট্র ও প্রসিকিউশন পক্ষের বক্তব্যে উঠে আসে—অপরাধী যত বড় বা ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। চব্বিশের জুলাই–আগস্টে গণঅভ্যুত্থান দমনকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সব পর্যায়ের বিচার এই রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে।