স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ২২ ঘণ্টা পরও সেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, “এখনও আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। কত সময় লাগবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের কুরিয়ারের গুদামে আগুন লাগে। পরে তা পুরো কমপ্লেক্সে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং রাত ৯টার পর থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, “অনেক ব্যবসায়ীর আমদানি করা পণ্য পুড়ে গেছে। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি।”
আগুনে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঢাকাগামী ফ্লাইটগুলো ডাইভার্ট হয়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে নামে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রী মাহমুদুল ইসলাম বলেন, “ঢাকায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ফ্লাইট বিলম্বের কারণে যেতে পারিনি।”
আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেবে। দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।”
Leave a Reply